সিভি কিভাবে লিখতে হবঃ
জানা জরুরীঃ
সিভি কি?
সিভিতে কি কি থাকে?
সিভিতে ফরমেট কেমন হওয়া দরকার?
কোন ধরণ?
সিভি লেখার নিয়মাবলী?
সিভি কিভাবে সুন্দর করে লেখা যায় ?
চাকরিদাতা ও চাকরি গ্রহীতা উভয়ের উভয়ের ক্ষেত্রে সিভির গুরুত্ব অপরিসীম । চাকরি প্রার্থীর নিকট যেমন একটি সুন্দর সিভি মাধ্যমে তার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তেমনি চাকরিদাতার নিকট একটি সিভি সুন্দর সিভি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে পজেটিভ মনোভাব ফেলে। তাই আমরা সহজভাবে বলতে পারি চাকরির প্রথম ধাপ হলো ভালোভাবে একটা সিভি তৈরী করা । একটি সুন্দর সিভি নিয়োগদাতাদের নজর কাড়ে। যা আপনার সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের একটি ভালো ধারণা দেয়। ব্যাপারটি খুব সহজ । এর জন্য আপনার একটু সময় নিয়ে নিয়ম ঠিকভাবে সিভি তৈরী করতে পারা।
আমাদের প্রথম ভুল হল নিজের সিভি নিজে তৈরি করতে না পারা। আমরা কম্পিউটারের দোকান থেকে কম্পোজ করে রেডিমেড সি ভি বিক্রয় করি শুধু তাই না আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থেকে সিভি বানিয়ে নেয় এটা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ জব টা করব আমি আমার কি যোগ্যতা বা দক্ষতা আছে সেটা আমি সবথেকে ভালো বলতে পারব। আমার নিজের মনের মতো করে সুন্দর করে সময় নিয়ে সিভি বানাতে শিখতে হবে । সে ক্ষেত্রে আমরা সিভি বানানোর আগে বিভিন্ন সাইট থেকে অনলাইনে সার্চ দিয়ে আমরা সিভি টেমপ্লেট দেখে নিতে পারি এবং কয়েকটা সিভি টেমপ্লেট দেখে আমাদের নিজেদের একটি ধারণা তৈরি হবে এবং ধারণার ভিত্তিতে এবং নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী সুন্দর করে সিভি তৈরি করতে তারা সব থেকে ভালো।
সিভি কী?
সিভি বা কারিকুলাম ভিটা
C-Curriculum V-Vitae হলো ২ – ৩ পাতার পেজের হয়ে থাকে | যেখানে, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার - কম্পিউটারের দক্ষ কিনা অনলাইনে দক্ষকিনা, মেইল লিখতে পারেন কিনা, পলিসি তৈরি করতে পারেন কিনা,
ম্যানেজ করতে পারেন কিনা, ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে । বর্তমানে আপনি কোথায় জব করেন আগে কোথায় করেছিলেন এবং কি কি কাজ করতেন আপনার এক্সট্রা কোন যোগ্যতা আছে কিনা, । এটি সাধারণত ইংরেজিতে লেখা হয়। আপনার বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানা এককথায় আপনার জীবনের বিস্তারিত এখানে উল্লেখ থাকে|
সিভি তে কোন কোন বিষয়গুলো থাকে?
ব্যক্তিগত তথ্যঃ এ অংশে আপনার নাম, ফোন নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানা থাকে। বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হয়।
ছবিঃ বর্তমানে তোলা বিভিন্ন সাইজের ছবি চাইতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাম্প্রতিক ডিগ্রি বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে শুরু করতে হয়। মাস্টার্স ডিগ্রিধারী তারপর স্নাতক তারপর এইচএসসি তারপরে এসেছে এভাবে সাজাতে হয়।
কাজের অভিজ্ঞতাঃ প্রথমে সাম্প্রতিক কোথায় কাজ করছেন সেটি উল্লেখ করতে হবে তার আগে কোথায় কাজ করছেন তার উল্লেখ করতে হবে এবং তার আগে কোথায় কাজ করছেন তার উল্লেখ করতে হবে।
দক্ষতা ও অর্জনঃ চাকরিপ্রার্থী দক্ষতার ব্যাপারে চাকরিদাতা খুবই গুরুত্ব দেয় সুতরাং এটি আপনাকে উল্লেখ করতে হবে একটি মেয়ে হিসেবে । প্রাসঙ্গিক হলে কোন পুরস্কার, সম্মাননা বা প্রকাশনার কথাও উল্লেখ করতে পারেন।
রেফারেন্সঃ রেফারেন্স দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি যেখানে চাকরি করতে আসছেন তারা আপনাকে আপনার সম্বন্ধে আপনার রেফারেন্স যাকে দিবেন তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এবং আপনার সম্পর্কে আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা যোগ্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারে সুতরাংআপনার কাজ বা দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে ভালো ধারণা রয়েছে এমন ২ – ১ জন ব্যক্তির নাম ও যোগাযোগের তথ্য রেফারেন্স হিসাবে দিন। তবে আগেই তাদের অনুমতি নিয়ে রাখুন। উল্লেখ্য যে, সব চাকরির জন্য রেফারেন্স অংশ থাকার বাধ্যবাধকতা নেই। প্রয়োজনে নিয়োগদাতারা আপনার কাছে এ ব্যাপারে তথ্য চাইতে পারেন।
সিভি ফরম্যাট কেমন হবে খুবই গুরুত্ব সহকারে জানা দরকার?
১) ‘A4’ সাইজের পেইজ ব্যবহার করুন।
২) ‘Arial’, ‘Times New Roman’ বা ‘Calibri’ ফন্টে লিখুন।
৩) অধিকাংশ চাকরির জন্য ২ – ৩ পেইজের সিভি বানানো যথেষ্ট।
৪) ১ – ২ ধরনের ফন্ট কালারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকুন।
৫) ১২ ফন্টের সাইজ বেছে নিন।
৬) সিভির অংশগুলোকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে ১৪ – ১৬ ফন্ট সাইজের সাবহেডিং ব্যবহার করুন।
৭) পড়ার সুবিধার জন্য বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে সারাংশের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
৮) দুই লাইনের মধ্যে যথেষ্ট স্পেসিং বজায় রাখুন।
৯) বিশেষ কোন দরকার ছাড়া সিভির ডিজাইনে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা থেকে বিরত থাকুন।নিয়োগদাতার কাছে ডিজাইন দৃষ্টিকটু লাগলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেশি।
১০) সবগুলো ফন্ট সাইজ এ কুই রাখার চেষ্টা করুন ।
সিভির ধরনঃ
১) কাজের অভিজ্ঞতাভিত্তিক সিভিঃ বর্তমান চাকরি থেকে সিনিয়র কোন পদের চাকরিতে আবেদন করলে এ ধরনের সিভি লিখুন।
o যেসব চাকরিতে কাজের নমুনা বা পোর্টফোলিও থাকা গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোর ক্ষেত্রেও এমন সিভি কাজে দেবে।
o কী দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিবরণ দেয়া এ সিভির উদ্দেশ্য নয়। বরং আপনার কাজ কোন ধরনের সাফল্য পেয়েছে বা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেছে, তা উপস্থাপন করুন।
২) দক্ষতাভিত্তিক সিভিঃ যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তার সাথে সম্পর্কিত দক্ষতাগুলোর উপর জোর দিয়ে এ ধরনের সিভি লিখতে পারেন। শিক্ষার্থী ও সদ্য গ্র্যাজুয়েট হয়ে থাকলে বা এক ক্যারিয়ার থেকে অন্য ক্যারিয়ারে যেতে হলে এ ধরনের সিভি প্রযোজ্য।
সিভি লেখার নিয়ম কী?
১) আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, সে চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সিভির ভাষা ও ধরনে হতে হবে
·২) আপনার সিভির উপর নিয়োগদাতারা ইন্টারভিউর সময় প্রশ্ন করতে পারেন। তাই প্রতিটি অংশে কী লিখছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
৩) সিভি লেখার ক্ষেত্রে বানান ভুল করা যাবেনা। ভুলে ভরা সিভি নিয়োগদাতাদের মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। তাই নির্ভুল ভাষা ও বানান নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে অন্য কারো সাহায্য নিন।
৪) যে প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, সে প্রতিষ্ঠানের কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সিভিতে উল্লেখ করতে হবে।
৫) বহু পেশাজীবী আর চাকরিপ্রার্থী কিছু শব্দের অতিরিক্ত ব্যবহার করেন। এগুলো মোটেও ঠিক নয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা না থাকলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের লিংক সিভিতে দেয়া অনুচিত। প্রযোজ্য হলে নিজের লিংকডইন অ্যাকাউন্টের লিংক ব্যক্তিগত তথ্যের সেকশনে রাখতে পারেন। তবে তার আগে লিংকডইন প্রোফাইল সাজিয়ে নিন।
৬) সহজ সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় সিভি লিখতে হবে এবং যথাসম্ভব সহজ ও ছোট বাক্যের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করুন। অহেতুক কঠিন শব্দ আর জটিল ভাষার ব্যবহার বিরক্তির জন্ম দিতে পারে।
অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক লেখা থেকে বিরত থাকুন।
সিভি কীভাবে এট্রাক্টিভ করা সম্ভবঃ
১) চাকরি পাওয়ার মুলেই হলো দক্ষতা । যে ধরনের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তার সাথে সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জনে সময় দিন। কোন ক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠলে সিভিতে ও কিচ্ছু হবে না কারণ লেখকরে ফেলুন।
২) কোন কাজে যুক্ত থাকলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। এতে করে
সিভিতে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে পারবেন।
৩) মাঝে মাঝে সিভি রিভিউ সহ আপডেট করুন। কোন অংশে ঘাটতি থাকলে সময় নিয়ে
সে অংশ সময় নিয়ে আপডেট করুন।
৪) সব চাকরি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য একই ধরনের সিভি ব্যবহার করা থেকে বিরত
থাকুন। এতে করে এক এক প্রতিষ্ঠান একএক ধরনের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী তারা নিয়োগ
দিয়ে থাকে সুতরাং তাদের রিকোয়ারমেন্ট টা ভালোভাবে পড়ে বুঝে সে অনুযায়ী তাদেরকে
সিভি সেন্ড করুন বরং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সিভি বানান।
ইন্টারনেটে সিভির বিভিন্ন
টেমপ্লেট পাওয়া যায়। টেম্পলেটগুলো প্রথমে আপনি কয়েকটি দেখুন বুঝুন তারপর
সেই অনুযায়ীএকটি আপডেট সিভি তৈরি করুন ।
2 Comments
I would like an English photo for the job
ReplyDeleteUneotarYbeji Angela Jiang Driver Easy Pro
ReplyDeleteWinRar
Visit
wheelnoughpulvi