আমরা অনেকে এই এড-হক শব্দটির
সাথে পরিচিত কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য আমরা অনেকে এটার অর্থ্ জানিনা । বাংলাদেশ শ্রম
আইনের অনেকগুলো ধারাতে এড-হক মজুরীর কথা উল্লেখ্য আছে।
এড-হক একটি ইংরেজী শব্দ ।
ল্যাটিন ভাষায় এর অর্থ হলো “এর জন্য”, ইংরেজী ভাষায় এর অর্থ হলো “ এই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের
জন্য” এবং এর বাংলা আবিধানিক অর্থ্ হলো “অস্থায়ী”। অনেক সময় মালিকপক্ষ কোন জরুরী প্রয়োজনে
বেতন হিসাবজনিত সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন । সেক্ষেত্রে এড-হক মজুরী প্রদান করতে পারেন
। এড-হক মজুরী হলো সেই সকল “তাৎক্ষনিক মজুরী” যা মালিকপক্ষ স্বাভাবিক বেতনের বাইরে
দিয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা সমন্বয় করা হয় । একে “এককালিন মজুরী” অথবা “অর্ন্তবর্তীকালিন
মজুরী” বলা যেতে পারে । বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বেশ কিছু ক্ষেত্রে
এড-হক ভিত্তিতে মজুরী প্রদান হতে পারে যেমন- দেরীতে বেতন সামঞ্জস্য করা, ভুল বেতন পরিশোধ
করা, ট্যাক্স পরিশোধ, অতিরিক্ত খরচ, কর্ম্চারীদের প্রণোদনা প্রদান এবং অন্যান্য বিশেষ
অনুরোধ । একটা উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটা
বুঝানো যেতে পারে ।
মনে করি, আবুল কাশেম সাহেব
একটি ফার্নিচার ফ্যাক্টরীর মালিক । তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭৫ জন কর্ম্চারী কর্মরত রয়েছে
। প্রতি বছর তিনি এপ্রিল মাসে কর্ম্চারীদের বেতন অনুযায়ী ১০%-১৫% বেতন বৃদ্ধি করে থাকেন
। কিন্ত ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে তিনি তা করতে ব্যর্থ্ হন । তাই তিনি হিসাব বিভাগের
সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে সবার এককালীন ২০০০ টাকা মজুরী বৃদ্ধি করে থাকেন
এবং পরবর্তীতে তা স্বাভাবিক নিয়মে সমন্বয় করেন ।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হল
অস্থায়ী ভাবে যে মোট মজুরী সাথে যুক্ত হয়ে যে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি হচ্ছে তাকেই এড-হক
মজুরী বলে।
মোঃ আবু রায়হান
এক্সিকিউটিভ- এডমিন এন্ড
এইচ আর।
0 Comments