কর্মঘন্টার
নীতিমালা
উদ্দেশ্যঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধনী-১৩) এবং শ্রম বিধি-১৫ ও বিভিন্ন ক্রেতা সাধারণের নীতিমালা অনুযায়ী কারখানার কর্মঘন্টা নিশ্চিত করা। |
|
নীতিমালা কার্যকরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ বিভাগঃ কমপ্লায়েন্স এবং মানব সম্পদ বিভাগ । |
|
নীতিমালা সর্বশেষ সংশোধনের তারিখঃ |
পরবর্তী সংশোধনের তারিখঃ |
ভূমিকা ঃ
ব্যক্তি স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকারের প্রতি --------------------- লিঃ শ্রদ্ধাশীল। তাই ------------ এর প্রতিটি সেকশনে বা ইউনিটে কোন শ্রমিককে আইনের বাইরে তাকে দিয়ে কোন প্রকার কাজ বা অতিরিক্ত কাজ করতে নিরুৎসাহিত করে।ঐ
--------------------- এর সকল কর্মকর্তা,
শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য কর্মঘন্টা’র নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এই নীতিমালা নিম্নলিখিতভাবে প্রযোজ্য হবে।
ফরম-৩৭
[ ধারা ১১১ (৮) এবং বিধি ১০৫ (১) দ্রষ্টব্য ]
কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজের সময়ে নোটিশ
সেকশন: গার্মেন্টস ডিভিশন এর সকল শাখা
বার |
কাজ শুরুর সময় |
কাজ সমাপ্তির সময় |
বিশ্রামের
জন্য বিরতি |
শুক্রবার |
সাপ্তাহিক
বন্ধের দিন হিসেবে
ধার্য করা হয়েছে |
||
শনিবার |
সকাল ৮.০০ ঘটিকা
|
বিকাল
৫.০০ঘটিকা |
১ঘন্টা
মধ্যাহ্ন বিরতি |
রবিবার |
সকাল ৮.০০ ঘটিকা
|
বিকাল
৫.০০ঘটিকা |
১ঘন্টা
মধ্যাহ্ন বিরতি |
সোমবার |
সকাল ৮.০০ ঘটিকা
|
বিকাল
৫.০০ঘটিকা |
১ঘন্টা
মধ্যাহ্ন বিরতি |
মঙ্গলবার |
সকাল ৮.০০ ঘটিকা
|
বিকাল
৫.০০ঘটিকা |
১ঘন্টা
মধ্যাহ্ন বিরতি |
বুধবার |
সকাল ৮.০০ ঘটিকা
|
বিকাল
৫.০০ঘটিকা |
১ঘন্টা
মধ্যাহ্ন বিরতি |
বৃহস্পতিবার |
সকাল ৮.০০ ঘটিকা
|
বিকাল
৫.০০ঘটিকা |
১ঘন্টা
মধ্যাহ্ন বিরতি |
সেকশন: এমব্রয়ডারী সেকশন :-
বার |
পালা-০১ |
পালা-০২ |
||||
কাজ শুরুর সময় |
কাজ সমাপ্তির সময় |
বিশ্রামের জন্য বিরতি |
কাজ শুরুর সময় |
কাজ সমাপ্তির সময় |
বিশ্রামের জন্য বিরতি |
|
শনিবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রবিবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
সোমবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
মঙ্গলবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
বুধবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
বৃহস্পতিবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
সেকশন: টেক্সটাইল ডিভিশন :-
বার |
পালা-০১ |
পালা-০২ |
পালা-০৩ |
||||||
শনিবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রাত ১০:০০ |
সকাল ০৬:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রবিবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রাত ১০:০০ |
সকাল ০৬:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
সোমবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রাত ১০:০০ |
সকাল ০৬:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
মঙ্গলবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রাত ১০:০০ |
সকাল ০৬:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
বুধবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রাত ১০:০০ |
সকাল ০৬:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
বৃহস্পতিবার |
সকাল ০৬:০০ |
দুপুর ০২:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
দুপুর ০২:০০ |
রাত ১০:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
রাত ১০:০০ |
সকাল ০৬:০০ |
১ ঘন্টা বিশ্রাম এর জন্য বিরতি |
প্রত্যেক ৭দিনে/ সপ্তাহে একদিন (শুক্রবার) ছুটির দিন ।
দৈনিক কর্মঘন্টা Ñ
- সাধারণত দৈনিক আট ঘন্টার অধিক সময় কাজ করবেন না বা তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ১০৮ এর বিধান সাপেক্ষে একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক শ্রমিক দৈনিক ১০ (দশ) ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অধিককাল কাজের জন্য তার মূল মজুরীর দ্বিগুণ হারে ভাতা পাবেন। (সুত্র- মূল বেতন /২০৮*২* মোট অধিককাল ঘন্টা)
বিশ্রাম বা আহারের জন্য বিরতি -
- দৈনিক ৬ (ছয়) ঘন্টার অধিক কাজ করতে বাধ্য থাকবেন না, যদি না উক্ত দিনে তাকে আহার বা বিশ্রামের জন্য ১ (এক) ঘন্টা বিরতি দেওয়া হয় ;
- দৈনিক ৫ (পাচ) ঘন্টার অধিক কাজ করতে বাধ্য থাকবেন না, যদি না উক্ত দিনে তাকে আহার বা বিশ্রামের জন্য ৩০ মিনিট (আধা ঘন্টা) বিরতি দেওয়া হয়।
সাপ্তহিক কর্মঘন্টা Ñ
- কোন প্রাপ্তবয়ষ্ক শ্রমিক সাধারণত: সপ্তাহে ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘন্টার অধিক সময় কাজ করবেন না বা তাকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না।
- ধারা ১০৮ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন প্রাপ্ত বয়ষ্ক শ্রমিক সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার অধিক সময়ও কাজ করতে পারবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সপ্তাহে উক্তরুপ কোন শ্রমিকের মোট কর্ম সময় ৬০ (ষাট) ঘন্টার অধিক হবেনা, এবং কোন বৎসরে ইহা গড়ে প্রতি সপ্তাহে ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার বেশী হবে না।
মহিলা শ্রমিকের জন্য সীমিত কর্মঘন্টাÑ
কোন মহিলা শ্রমিককে তার অনুমতি ছাড়া রাত ১০ টা হতে ভোর ৬ টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে না।
কার্যপ্রনালী ও কার্যপোকরন ঃ
● যদি উৎপাদনের চাহিদা পূরনের জন্য সাধারন কর্মঘন্টার পরেও শ্রমিকদের দ্ধারা অতিরিক্ত কাজ করাতে হয় তা হলে অবশ্যই ”মহাব্যবস্থাপক উৎপাদন” এর মৌখিক বা লিখিত অনুমতি নিতে হয়।
● মহাব্যবস্থাপক উৎপাদন এর অনুমতির পর উৎপাদন বিভাগ প্রশাসন ও মানব সম্পদ বিভাগকে অবহিত করেন।
● উৎপাদন কর্মকর্তা উৎপাদনের চাহিদা পূরনের জন্য অতিরিক্ত কাজ করানোর আগে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত কাজ করার বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সম্মতি নিয়ে থাকেন।
● যে সব শ্রমিকগণ স্বেচ্ছায় কাজ করিতে ইচ্ছুক না তাদেরকে দিয়ে বল প্রয়োগ করে কাজ করানো হয় না।
● স্বেচ্ছায় কাজ করানোর জন্য প্রতিদিন শ্রমিকদের হাত উত্তোলনের মাধ্যমে অনুমতি নেয়া হয়।
নিচে
স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত কর্মঘন্টা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ঃ
চুক্তি ঃ
কোন শ্রমিককে নিয়োগদান কালে তার নিকট থেকে কোন প্রকার অঙ্গীকার কিংবা মুচলেকা নেয়া হয় না এবং কোন প্রকার শর্ত আরোপ করা হয় না, যাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কাজ করতে হয় ।
ভয়-ভীতি ঃ
কোন শ্রমিককে কোন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন কিংবা শারীরিক নির্যাতন অথবা আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে অতিরিক্ত কাজ আদায় করে নেয়া হয় না।
ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রদান ঃ
স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত কাজ করার ব্যাপারে কোন শ্রমিকদের অভিযোগ কর্মকর্তাদের নিকট প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়া আছে। কাজ শেষে শ্রমিকদেরকে নিজ নিজ বাসায় যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
স্বেচ্ছাভিত্তিক ওভার টাইম ঃ
যদি ওভার টাইম করানোর প্রয়োজন হয় তা আগে থেকে শ্রমিকদের জানানো হয়। শ্রমিকগণ স্বেচ্ছায় সম্মত হলে
কেবলমাত্র ওভার টাইম করানো হয় । একজন শ্রমিককে প্রতি দিন ২ ঘন্টা ওভার টাইমসহ ১০ ঘন্টা, সপ্তাহে ৬০ ঘন্টা। তবে কোন বছরে গড়ে ৫৬ ঘন্টার বেশী নয় এবং প্রতি ৭ দিনে একদিন ছুটি দেয়া হয় ।
যোগাযোগ ও বাস্তবায়নের কার্যপ্রণালীঃ
১। কর্মঘন্টা নীতিমালা সর্ম্পকে কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের সচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কল্যাণ কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন।
২। কল্যান কর্মকর্তাগণ নিয়মিত ফ্লোর ভিজিটের সময় ’ কর্মঘন্টা’র ব্যাপারে পর্যবেক্ষন করেন এবং এ ধরনের কোন সমস্যা দেখলে ”মানব সম্পদ” বিভাগকে জানান।
৩। কর্মঘন্টা নীতিমালা নোটিশ বোর্ড এ ঝুলানো থাকে যার মাধ্যমে শ্রমিক ও কর্মচারী জানতে পারেন।
৪। কর্মঘন্টা নীতিমালা নিয়ে শ্রমিক অংশগ্রহণকারী কমিটি এবং মিড লেবেল ম্যানেজমেন্ট এর সভায় আলোচনা হয় যার মাধ্যমে পরবর্তীতে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সকলে জানতে পারেন।
প্রতিক্রিয়া পদ্ধতি ঃ
---------------------------------- কিছু নিজস্ব কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেন যা নিচে আলোচিত হল ঃ
১)
কোম্পানীর নিজস্ব (Feedback system form) এর মাধ্যমে শ্রমিক, কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার মূল্যায়ন করা হয়।
২)
সংশ্লিষ্ট ফ্লোরের কল্যাণ কর্মকর্তাগণ নিয়মিত ফ্লোর ভিজিটের সময় শ্রমিক / কর্মচারীদের কাছ থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া নিয়ে থাকেন ।
৩)
দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিঃ এর একটি স্বতন্ত্র কমপ্লায়েন্স টিম আছে। এই টিম প্রত্যেক মাসে তাদের নিজস্ব কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত অভ্যন্তরীন অডিটে Worker Interview এর মাধ্যমে এই নীতিমালার প্রতিক্রিয়া কর্তৃপক্ষকে উপস্থাপনা করেন ।
৪)
এই ক্ষেত্রে কোন সমস্যা পাওয়া গেলে সংশোধনী কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে তা সমাধান করেন।
প্রস্ততকারী সমন্বয়কারী অনুমোদনকারী
0 Comments